সুস্থ ও সুন্দর জীবনের জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্ঞান অর্জন করা অতীব জরুরী। স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য, দরকারি টিপস এবং ফ্যাক্টস জানার মাধ্যমে জ্ঞানের পরিধিকে বাড়িয়ে তুলতে আমাদের সাথে থাকুন।
নিয়মিত রঙ্গিন শাক-সবজি ও ফল খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। একেক রঙ একেক রকমের ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট এর কারণে হয়ে থাকে। এই কারণে নানা বর্ণের শাক-সবজি, ফল সমৃদ্ধ খাবার থেকে নানা রকমের পুষ্টি গ্রহণের সম্ভাবনাও বেশি।
আমাদের ত্বক আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ। এটি আমাদের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, শরীরের অভ্যন্তরীন অঙ্গদের বাইরের প্রভাব ও রোগ জীবানু থেকে রক্ষা করে।
ড্রাগন ফল স্বাদে মিষ্টি হলেও এতে ক্যালোরি কম। একই সাথে এটি ভিটামিন সি,ই , আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট এর উৎস।
ঘুমানোর আগে শশা খেলে ঘুম গভীর হয় এবং ঘুম পরবর্তী মাথাব্যাথা নিরোসনেও এটির ভূমিকা রয়েছে।
বই পড়া, বাগান করা কিংবা গান শোনা আমাদের শরীরের স্ট্রেসকে কমিয়ে আনে। গবেষণায় বলে, বই পড়া স্ট্রেস হরমোন “কর্টিসল” এর মাত্রাকে ৬০% থেকে ৭০% পর্যন্ত কমিয়ে আনতে পারে।
দুইটি কলা আমাদের শরীরে যে পরিমাণ শক্তি সরবরাহ করে তা ৯০ মিনিট কঠোর পরিশ্রমের জন্য যথেষ্ট।
ঘুমানোর আগে এক কাপ গ্রিন টি পান করলে ঘুমের মাঝেও ক্যালরি বার্ণ হয় এবং এটি মেটাবলিজমের হারকেও বাড়িয়ে তোলে।
কিসমিসের প্রচুর পরিমাণে আয়রণ এবং নানা রকমের ভিটামিন বি রয়েছে। তাই এই উপাদানগুলো স্বল্পতা হ্রাসে কিসিমিস উপকার বয়ে আনতে পারে।
তালের শাস খেলে আমাদের শরীরে নাইট্রেটের পরিমান প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে যায়। যার ফলে আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
মাশরুমে ইরিটাডিন, কিটিন, লোভাস্টাটিন ইত্যাদি রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। এই পদার্থ সমূহ রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
সূর্যের আলোতে ভিটামিন- ডি থাকে না। ভিটামিন ডি আমাদের শরীরে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় অবস্থান করে। সুর্যের আলোর সংস্পর্শে আসলে এই নিষ্ক্রিয় ভিটামিন-ডি সক্রিয় হয়।
ত্বকে কোথায় খোস পাচড়া, চর্ম রোগ হলে নিমের পাতার নির্যাস ব্যবহার করা যেতে পারে কারণ এতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
প্রতিরাতে ৩ থেকে ৪ গ্রাম মেথি পানিতে ভিজিয়ে রেখে, সকালে সে পানি পান করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ডাবের পানি আমাদের শরীর থেকে টক্সিনকে বের করে দেয়। এর ফলে আমাদের কিডনি, লিভার ক্ষতিকর পদার্থ থেকে রক্ষা পায়। এছাড়া ডাবের পানি শরীরে পানির পরিমাণ ঠিক রাখে, প্রয়োজনীয় মিনারেলস এর যোগান দেয়।
জবা ফুলের নির্যাস চুল পড়া কমায়, চুলকে মোটা এবং পুরু করে। একই সাথে এটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয়, মানসিক অবসাদ কমে আসে, হাড় শক্ত এবং শরীরে শক্তি যোগায়। নানা রকমের রোগে শরীর দুর্বল হয়ে গেলে সহজপাচ্য মিষ্টি আলু সেবন শরীরকে চাঙ্গা করে তুলতে পারে।
সরিষার তেল আমাদের শ্বসন তন্ত্রকে পরিষ্কার করে। এর সাথে রসুন মিশিয়ে বুকে ও পিঠে মালিশ করলে কফ জাতীয় সমস্যার সমাধান হয়।
ডুমুর এর সাথে মধু মিশিয়ে খেলে তা অতিরিক্ত ঋতুস্রাবকে প্রশমিত করে এবং ঋতুস্রাব সম্পর্কিত ব্যাথা কমিয়ে আনে।
পাট শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন এবং পটাশিয়াম আছে। আয়রন হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সাহায্য করে এবং এর অভাবে রক্ত শুন্যতা দেখা দেয়। আর পটাশিয়াম সুষ্ঠভাবে রক্ত সঞ্চালনে অত্যাবশ্যকীয়।
নানা রকমের সবজির মাঝে বরবটিতে প্রচুর প্রোটিন রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগী কিংবা ভেজিটেরিয়ান যারা প্রাণিজ আমিষ গ্রহণ করতে পারেন না তাদের জন্য বরবটি প্রোটিনের ভালো উৎস হতে পারে।
ঢেঁড়সের মধ্যে আছে প্রচুর মাত্রায় ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন এ,সি,কে,বি, ফলেট, আয়রন, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিটা ক্যারোটিন। এই সব উপাদান শরীরকে একাধিক রোগ থেকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
কলার মোচাতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ডায়েটারি ফাইবার, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান প্রচুর পরিমানে রয়েছে। এই প্রতিটি উপাদান শরীরের জন্য খুব উপকারি।
জামরুলে প্রচুর পরিমাণে জলীয় অংশ রয়েছে যা শরীরে পানিশুন্যতা দূর করে। এছাড়া এটি হৃদরোগ, স্ট্রোক, চোখের সমস্যা এবং উচ্চ রক্তচাপ প্রতিকার ও প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ডেঙ্গু রোগ হলে দ্রুত প্লেটলেট কমে যেতে পারে। পেঁপে পাতা দ্রুত আমাদের শরীরে প্লেটলেটের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ম্যালিরিয়ার চিকিতসাতেও পেঁপে পাতা ব্যবহার করা হয়।
পানিফল আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখে। হৃদরোগ দমনে এবং পেটের সমস্যার চিকিৎসাতেও এর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
জিওল মাছ যেমন শিং, মাগুর মাছ রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। এই মাছ গুলোতে যেমন প্রচুর পুষ্টি রয়েছে তেমনি ভাবে এরা সহজপাচ্য, যা রোগীদের শরীরে হজমজনিত চাপ তৈরি করে না।
লাউ শাকে ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, আয়রন, ফাইবার, পটাশিয়ামের মত উপাদান প্রচুর মাত্রায় থাকে। পেটের সমস্যায় রোগীর পথ্য হিসেবে এই শাকের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে।
সজনে ডাটাতে প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। একই সাথে এটি হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
পেঁয়াজ কলি এমন একটি খাবার যা কোলেস্টেরল ফ্রি, স্যুগার ফ্রি এবং সোডিয়াম ফ্রি। একই সাথে এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে, সি, এ এবং ফলেট পাওয়া যায়।
পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে কোয়ারসেটিন (Quercetin) রয়েছে, যা শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্ট। একই সাথে এতে প্রচুর ক্রোমিয়াম রয়েছে যা ইনসুলিনের কাজে সাহায্য করে।
চিনা বাদাম নিয়মিত গ্রহণ করলে আমাদের মস্তিস্কের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এর ফলে আমাদের স্মৃতি ভালো থাকে। গভীর ঘুম হয়।
গাজর সর্বপ্রথম চাষ করা শুরু হয় শক্তি বর্ধক ঔষধ হিসেবে। তিনটি স্বাভাবিক আকারের গাজর একজন মানুষকে ৩ মাইল পরিমাণ হাটার উপযোগী শক্তি সরবরাহ করতে পারে।
হাসিখুশি থাকা আমাদের হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্যকে সরাসরি প্রভাবিত করতে পারে। বলা হয়ে থাকে, হাসি আমাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালনকে ২০% পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে।
ফুলকপি এজমা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। একই সাথে এটি নানা রকমের কিডনি জনিত সমস্যাকেও প্রতিহত করে।
আমাদের মস্তিস্কের ৮০%ই পানি দিয়ে তৈরি। মস্তিস্ককে সচল রাখতে প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে পানি পান করা অত্যাবশ্যক।
টক দই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, পেটের সমস্যা দূর করে, অকালে চুল পড়া কমায় এবং ভিটামিন বি তৈরিতে সাহায্য করে।
খালি পেটে ব্যাথানাশক ঔষধ সেবন এবং লেবু জাতীয় ফল খাওয়া অনুচিত। এতে করে তীব্র গ্যাস্ট্রাইটিসের সমস্যা হতে পারে।
শশা এবং ট্মেটোতে প্রচুর পরিমাণে জলীয় পদার্থ থাকে। এরা একই সাথে যেমন নানা রকমের ভিটামিন ও মিনারেলস এর যোগান দেয়, তেমনি ভাবে পানিশুন্যতাও দূর করে, কোলেস্টেরলের পরিমান কমিয়ে আনে।
প্রতিদিন খাবারের সাথে লেবু গ্রহণ করলে হজম শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং ক্যান্সার ও কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
মরিচে প্রচুর পরিমাণে ক্যাপসিসিন রয়েছে। এটি বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং মেটাবোলিজম বৃদ্ধি করে।